ভারতে এবার বোমা ভরা মাংসের টোপে খুন করা হল শিয়াল
মানবিকতা ভুলে এখন পশুহত্যার নেশায় ডুবেছে ভারত। কেরালায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে বিস্ফোরক ভরা আনারস খাইয়ে খুন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বিস্ফোরণে গর্ভবতী গরুর চোয়াল উড়ে গেছে হিমাচলে। আগের দুই ঘটনা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠা যে বৃথা, তা ফের একবার চোখে আঙুল দেখিয়ে ঘটে গেল আরো একটি নারকীয় ঘটনা।
সোমবার, তামিলনাড়ুর তিরুচির জিয়াপুরমের কাছে একটি ক্ষতবিক্ষত শিয়ালের দেহ উদ্ধার করে বনকর্মীরা। বনদপ্তরের একজন অফিসার বলেন, ‘বোমা ভরা মাংস খেয়ে শিয়ালটির মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
বোমা মুখে পুরতেই বিস্ফোরণ ঘটে মুখে। এর জেরে তীব্র যন্ত্রণা পেতে পেতে শিয়ালটি মারা যায়। এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত ১২জনের একটি শিকারি দলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

কেরালার হাতির ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। পশুদের প্রতি নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা ভারতে হামেশাই ঘটে থাকে। কিন্তু বোমা ভর্তি খাবার বা ফল খাইয়ে পশু হত্যার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।
বন দপ্তরের কথায়, দাঁত ও মাংস খাওয়ার জন্যই বাজি ভর্তি মাংসের টোপ দেওয়া হয়েছিল শিয়ালটিকে। অভিযুক্তরা একই গ্রামের বাসিন্দা ও সকলেই জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকায় একটি শিয়ালকে ঘুরে বেড়াতে দেখে তারা।
শিয়াল শিকারের জন্য মাংসের মধ্যে দেশি বোমা পুরে রাখা হয়েছিল। সেই মাংস খেয়েই শিয়ালটির চোয়াল উড়ে যায়।
একটি চায়ের দোকানের এককোণে ওই ১২জনের শিকারি দলটি মরা শিয়ালটিকে ব্যাগে পুরে রেখে দিয়েছিল। সেই দোকানে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল।
তার চোখে পড়তেই এই ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিশ কনস্টেবল নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তাদের কথায় সন্দেহ তৈরি হয়। শিকার করা শিয়ালটিকে বন দপ্তরে নিয়ে আসা হলে সামনে আসে আসল সত্যটা।
সূত্র- এই সময়।